জাহান্নামীদের খাদ্য ও পানীয় কেমন হবে

জাহান্নামীদের খাদ্য ও পানীয় কেমন হবে

জাহান্নামীদের খাদ্য ও পানীয় কেমন হবে






উল্লেখ্য যে, পরকালে মানবজাতির কোন মৃত্যু নেই। মানব জাতিকে যতই কঠিন শাস্তি দেয়া হোক না কেন, তাতে কারো মৃত্যু ঘটবে না। বরং আগুনে পুড়ে ছাই হওয়ার সাথে সাথে নতুনভাবে চামড়া গো ও রক্ত দিয়ে পুনরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে। যাতে নতুনভাবে পূর্ণমাত্রায় আযাব ভোগ করতে পারে। এতো গেলো শুধু আগুনে পুড়িয়ে আজাব দেওয়ার কথা মূলত সর্বক্ষেত্রে তাদেরকে কঠিন থেকে কঠিন আজাব দেওয়া হবে। খাদ্য ও পানীয় ক্ষেত্রে যে আযাব দেওয়া হবে, তার ধারণ হবে যেমন, পানি ও বলতে তাদেরকে দুর্গন্ধযুক্ত গিসলীন নামক  পূঁজ তাদেরকে পান করানো হবে। যা পেটে পৌঁছার পূর্বে বমি হয়ে বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে। এবং পিপাসায় অতিষ্ঠ হয়ে তারা উহাই পান করে তৃষ্ণা মেটানোর ব্যর্থ চেষ্টা করবেন। এবং খাদ্য হিসেবে তাদেরকে দেওয়া হবে তিতা যুক্ত যাক্কুম নামক খাদ্য। যার তিক্ততা সম্বন্ধে বলা হয়েছে যে, যাক্কুমের একটিমাত্র ফোটাও যদি দুনিয়ায় পড়তো তাহলে দুনিয়ার মানুষ পশু-পাখি ও কীটপতঙ্গের খাদ্য-পানীয় সবকিছু তেতো হয়ে যেত। এখন অনুমান করা যায় যে, যাদেরকে যাক্কুম খাদ্য খাওয়ানো হবে তাদের পেটের কি অবস্থা হবে.? তারাও জঠর জ্বালা মেটানোর জন্য উক্ত খাদ্য যাক্কুম খেতে  বাধ্য হবে।


জাহান্নামীদের খাদ্য ও পানীয় কেমন হবে তা নিয়ে একটি হাদিস হলোঃ
অনুবাদঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন যার অর্থ হলো -- তোমরা আল্লাহকে যথাযথ ভাবে ভয় করো এবং মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, যদি যাক্কুম এর একটি ফোটা দুনিয়ায় পড়তো তবে দুনিয়া বাসীদের খাদ্য-পানীয় সব নষ্ট হয়ে যেত। তাহলে কেমন হবে যাদের (জাহান্নামীদের) খাদ্যই হবে শুধু জাক্কুম। (জামে তিরমিজি)

এই পোস্টগুলি আপনার ভাল লাগতে পারে