হযরত মুহাম্মদ (স.)

হযরত মুহাম্মদ (স.)

  হযরত মুহাম্মদ (স.)





আমার যে রাসূলের উম্মত তাঁর নাম হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি আমাদের (দেশ) হতে পশ্চিম দিকে আরব দেশের মক্কা শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সম্মানিত পিতার নাম আব্দুল্লাহ এবং দাদার নাম আব্দুল মুত্তালিব। যখন তিনি দুধ পানকরী শিশু ছিলেন তখন হতেই খুব লাজুক, লজ্জাশীল এবং ন্যায় পরায়ন ছিলেন। বড় হওয়ার পর প্রত্যেক লোকই তাঁকে সত্যবাদী বলে জানতো এবং মানতো। তাঁর অনেক বড় শত্রু ও তাকে বিশ্বাসী এবং সত্যবাদী বলে ডাকতো। তিনি জীবনে কখনো মিথ্যা কথা বলেননি। কখনো মদ পান করেন নি এবং গালি গালাজ করেন নি।


সদা সর্বদা তিনি অন্যদেরকে এমন খারাপ কর্ম থেকে বিরত রাখতেন এবং ভাল কর্মের আদেশ করতেন। তিনি আমাদেরকে এও বলেছেন যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া দ্বিতীয় কেউই এর উপযুক্ত নয় যে,আমরা তার এবাদত করব এবং তার সামনে নিজ মাথা নত করবো। তিনিই এও বলেছেন যে, আল্লাহ তা'আলা সকল দোষ ত্রুটি হতে মুক্ত তাঁর কোন সঙ্গী নেই। তিনি আমাদেরকে আহার দেন। তিনি আমাদের সকল প্রয়োজন পূরণ করেন। যা কিছু চাওয়ার তাঁর নিকট এই চাইবো। তিনি ছাড়া অন্য কারো কাছে চাইবো না। তিনিই আমাদের এও বলেছেন যে, আল্লাহ তা'আলা দিন রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং রমজানের পুরো মাস রোজা রাখার জন্য তাকীদ করেছেন। তারই নির্দেশ হল যে, ছোটদের সাথে স্নেহপূর্ণ এবং দয়ার্দ্র ব্যবহার করা উচিত।


বিনা কারণে নিজের থেকে ছোটদের কে মারা, কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ করা এবং গালিগালাজ করা অত্যন্ত খারাপ কথা (কাজ) বড়দেরকে সম্মান করা উচিত। শিক্ষক, বাবা-মা বড় ভাই বড়বোন প্রমুখ বড়দের কে সম্মান করা কর্তব্য। তার নির্দেশ অমান্য করা উচিত নয়। তিনিই আমাদের কে এ ও আদেশ করেছেন যে, আমরা যেনো ঈমান আনি( অর্থাৎ মুখে স্বীকার করি এবং হৃদয়ে বিশ্বাস রাখি 

  • আল্লাহ এক এবং 
  •  তার কথাগুলো সত্য।

ফেরেশতা আল্লাহ তাআলার এক সৃষ্টি জীব।অসংখ্য, নূরের তৈরি, আমরা স্বয়ং চোখে তাদেরকে দেখতে পাই না।  তাঁরা পুরুষও নন, আবার স্ত্রীলোক নন। তাঁরা কখনো আল্লাহ তাআলা নির্দেশ অমান্য করে না।


যে সকল কাজ-কর্মে আল্লাহ তাআলা তাদের নিযুক্ত করে রেখেছেন, যে সকল কর্মে তাঁরা লেগে থাকেন।তাঁরা সকল রাসূল এবং নবী একদম সত্যবাদী ছিলে। যদিও আমাদের তাঁদের ঠিক সংখ্যা এবং তাঁদের মাঝে অনেকের নাম ও জানা নেই। তাঁরা পাঠান সকল কিতাবের প্রতি ঈমান আনবো। একথার উপর ঈমান আনবো যে, দুনিয়ার মাঝে ভালো-মন্দ যা, কিছু হয় সবকিছুই তাকদীর থেকেই হয়। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার ইলেম এবং ধারণা অনুযায়ী হয়। কিয়ামতের দিন সত্য এবং মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়া নিশ্চিত।

এই পোস্টগুলি আপনার ভাল লাগতে পারে